16.1 C
Toronto
শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় স্ত্রী, দেখে ফেলায় স্বামীকে হত্যা

প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় স্ত্রী, দেখে ফেলায় স্বামীকে হত্যা - the Bengali Times
ছবি সংগৃহীত

ওড়না দিয়ে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক ইউটিউবার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। প্রেমিকের সঙ্গে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে প্রেমিকের সাহায্য নিয়ে সেই মরদেহ ফেলা হয় নর্দমায়।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে মৃতের স্ত্রীকে। বুধবার (১৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

- Advertisement -

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, হরিয়ানার হিসারে প্রেমিকের সঙ্গে এক নারীকে তার স্বামী ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে দেখে ফেলার পর ওই স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মৃত ওই স্বামীর নাম প্রবীণ।

অভিযোগ অনুযায়ী, নিজের স্বামীকে হত্যার পর তার মরদেহ ড্রেনে ফেলে দেয় তারা। পুরো ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।

৩২ বছর বয়সী রাভিনা এবং প্রেমিক সুরেশের প্রথম পরিচয় হয় ইনস্টাগ্রামে। এরপর তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়ান এবং প্রায় দেড় বছর ধরে হরিয়ানার প্রেমনগরে একসঙ্গে শর্ট ভিডিও ও ডান্স রিল বানাতে শুরু করেন। এই সম্পর্কের ব্যাপারে রাভিনার স্বামী প্রবীণ ও তার পরিবার বারবার আপত্তি জানালেও রাভিনা থেমে থাকেননি।

রাভিনার ইনস্টাগ্রামে প্রায় ৩৪ হাজার ফলোয়ার রয়েছে এবং ইউটিউবেও তার ভিডিওতে বিভিন্ন শিল্পীরা অংশ নিতেন। ভিডিও বানানো নিয়ে প্রবীণের সঙ্গে তার প্রায়ই ঝগড়া হতো। তবুও রাভিনা ভিডিও কনটেন্ট বানানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

গত ২৫ মার্চ রাতে প্রবীণ নিজের স্ত্রী ও সুরেশকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন। এরপর তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। অভিযোগ, তখনই রাভিনা ও সুরেশ মিলে একটি ওড়না দিয়ে প্রবীণকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

পরে প্রবীণের খোঁজে পরিবারের সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসা করলে রাভিনা কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন। কিন্তু সেদিন রাতেই রাত ২টা ৩০ মিনিটের দিকে রাভিনা ও সুরেশ একটি মোটরসাইকেলে করে প্রবীণের মরদেহ বাড়ি থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে একটি ড্রেনে ফেলে আসে।

এই ঘটনার ৩ দিন পর ২৮ মার্চ পুলিশ ড্রেন থেকে পচা অবস্থায় একটি মরদেহ উদ্ধার করে। তদন্তে ওই দিন রাতের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, এক ব্যক্তি হেলমেট পরে বাইক চালাচ্ছে, পেছনে মুখ ঢেকে বসে রয়েছে এক নারী, মাঝখানে একটি মরদেহ। প্রায় ২ ঘণ্টা পরে ওই নারী আবার একই বাইকে ফিরলেও মাঝখানে আর মরদেহটি ছিল না।

এই প্রমাণের ভিত্তিতে রাভিনা ও সুরেশকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলা হলে তাদের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। অন্যদিকে রাভিনা ও প্রবীণের ছয় বছরের শিশু সন্তান এখন দাদা সুভাষ ও চাচা সন্দীপের কাছে রয়েছে।

উল্লেখ্য, মাসখানেক আগে উত্তরপ্রদেশের মিরাটে এক নারী ও তার প্রেমিক মিলে স্বামীকে হত্যার পর মরদেহ টুকরো করে সিমেন্ট দিয়ে ড্রামে ভরে রাখার ঘটনা দেটিতে আলোড়ন তুলেছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ভারতে আবারও এমন নৃশংসতা শিরোনামে উঠে এলো। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles