
গে ও বাইসেক্সুয়াল মানুষদের জীবন রক্ষাকারী অঙ্গদান নিষিদ্ধের ক্ষেত্রে হেলথ কানাডার যে স্ক্রিনিং মানদ- তা নিয়ে নতুন করে আদালতে চ্যালেঞ্জের সামনে পড়েছে কানাডা সরকার। টরন্টোতে বসবাসকারী ৩১ বছর বয়সী মাইকেল ফজল ফেডারেল সরকারের সামনে এই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। সেই গভীর বেদনাদায়ক ও বেষম্যমূলক উল্লেখ করে এই নীতির অবসান চেয়েছেন।
সমকামীদের রক্ত ও স্পার্ম দানে কানাডার দীর্ঘদিনেরর বিধিনিষেধ হালনাগাদের পর এই মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তারা আশাবাদী যে, এই প্রচেষ্টা এলজিবিটিকিউ২এস+ কমিউনিটির বায়োমেডিক্যাল ডোনেশনকে আরও বেশি ন্যায্য করবে।
হেলথ কানাডার বিদ্যমান বিধিমালায় সর্বশেষ ১২ মাসে যারা একই লিঙ্গের মানুষের সঙ্গে যৌনকাজ করেছেন তাদের অঙ্গ ও টিস্যুদানে বিধিনিষেধ রয়েছে। তা সে দাতার ঝুঁকি বা সংক্রামক রোগ পরীক্ষার ফলাফল যাই হোক না কেন। এই নীতিটি এসেছে এইচআইভি সংক্রমণের উদ্বেগ থেকে, যা শুরু হয় ১৯৮০ ও ১৯৯০ এর দশকে।
ফেডারেল নীতি অনুযায়ী, বিশেষ পরিস্থিতি ছাড়া গে ও বাইসেক্সুয়াল ব্যক্তিদের অনুপযুক্ত ডোনার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশেষ পরিস্থিতিতে গ্রহীতা আর কোনো নিরাপদ অঙ্গ না পেলে এই কমিউনিটির ব্যক্তিদের কাছ থেকে উচ্চ ঝুঁকির অঙ্গ নিতে রাজি হয়।
কাগজে-কলমে এই বিধান থাকলেও কানাডিয়ান ব্লাড সার্ভিসেস অনলাইনে এই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে যে, বয়স, স্বাস্থ্যের অবস্থা অথবা সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন যাই হোক না কেন যে কেউ ডোনার হতে পারবে।
২৭ মার্চ অন্টারিও সুপিরিয়র কোর্টে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবীরা এ বছরের শেষের দিকে সাংবিধানিক এই চ্যালেঞ্জের ওপর শুনানি হবে বলে আশা করছেন।