
মেয়ের বিয়ের দশদিন আগে আচমকাই হবু জামাইয়ের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন প্রৌঢ়া। এবার সেই বিয়ের তারিখেই হবু জামাইয়ের সঙ্গে থানায় এলেন তিনি। সাফ জানিয়ে দিলেন, হবু জামাইকেই বিয়ে করবেন। পরিবারে আর ফিরতেও চান না। কিন্তু কেন?
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, স্বপ্না নামের ওই প্রৌঢ়া ১৬ এপ্রিল হবু জামাই রাহুলের সঙ্গে থানায় আসেন। পুলিশকে জানান, তিনি রাহুলকে বিয়ে করে তাঁর সঙ্গে থাকতে চান। আর কোনওভাবেই শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চান না। স্বপ্না জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী নিত্যদিন মদ্যপান করে বেধড়ক মারধর করতেন। এমনকী মেয়েও তাঁর সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করতেন। কটু কথাও বলতেন। চরম বিতৃষ্ণায় সংসার ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।
উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে ঘটনাটি ঘটেছিল। হবু জামাইয়ের সঙ্গে কনের মায়ের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় শোরগোল পড়েছিল। ৬ এপ্রিল তাঁরা পালিয়ে গিয়েছিলেন। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিল পরিবার। তাঁদের অভিযোগ ছিল, মেয়ের বিয়ের জন্য রাখা লক্ষ লক্ষ নগদ টাকা এবং সোনার গয়না নিয়ে স্বপ্না হবু জামাই রাহুলের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন।
অবশেষে ১৬ এপ্রিল মেয়ের বিয়ের দিনেই তাঁরা ফিরে এলেন গ্রামে। অন্যদিকে রাহুল জানিয়েছেন, আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে স্বপ্না তাঁকে দেখা করতে বলেছিলেন। এরপরই তাঁরা পালিয়ে যান। স্বপ্নাকে বিয়ে করতেও তিনি রাজি। এই সম্পর্ক নিয়ে আর আপত্তি জানায়নি পরিবার। শুধুমাত্র নগদ টাকা এবং সোনার গয়না ফেরত না দিলে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সূত্র : আজকাল