16.1 C
Toronto
শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

শুধু সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেই আমার সম্পর্ক ছিল: মেঘনা আলম

শুধু সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেই আমার সম্পর্ক ছিল: মেঘনা আলম - the Bengali Times

সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আলদুহাইলানের সঙ্গেই শুধু সম্পর্ক ছিল বলে আদালতের স্বীকার করেছেন আলোচিত মডেল মেঘনা আলম।

- Advertisement -

আজ বৃহস্পতিবার ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার মেঘনাকে আদালতে তোলা হলে তিনি এ কথা স্বীকার করেন।

একই মামলায় তার কথিত সহযোগী সানজানা ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. দেওয়ান সামিরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘এই আসামিরা অভিনব কৌশল অবলম্বন করে বিদেশি রাষ্ট্রদূতসহ এম্বাসিগুলোতে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের হানি ট্র্যাপে ফেলে বিপুল অর্থ বাগিয়ে নেওয়ার জন্য চক্র দাঁড় করিয়েছেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে এসব প্রতারণা করে আসছেন। সবশেষ সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন এবং তার কাছ থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।’

মেঘনার পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী না থাকায় তিনি নিজেই আদালতে কথা বলার অনুমতি চান। এ সময় আদালত অনুমতি দিলে মেঘনা বলেন, ‘মামলায় বলা হয়েছে, বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও এম্বাসিগুলোতে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে প্রতারণা করার কথা। অন্য কোনো বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। শুধু সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সম্পর্ক। সৌদি রাষ্ট্রদূতের কথা বলা হচ্ছে। আমার প্রশ্ন যে কেউ চাইলে কি সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করতে পারে? আপনারা কি তার কাছে যেতে পারবেন?’

এরপর আদালত মামলার বিষয়ে কিছু বলার আছে কি না জানতে চান। তখন মেঘনা বলেন, ‘আমাকে বিনা বিচারে জেলে পাঠানো হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে, কোনো আইনজীবী পাবেন না।’

মেঘনা আরও বলেন, ‘সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। ঈসা অভিযোগ করেছেন, আমি নাকি তার বাচ্চা নষ্ট করে ফেলেছি। এটা মোটেও সত্য না। এ বিষয়ে আমি ঈসার সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে এসব তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলেছি। এসব বিষয় নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিজি শফিকুরের সঙ্গে কথা বলেছি। এরপরেই পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করে।’

এদিকে শুনানির সময় দেওয়ান সামির আদালতকে বলেন, ‘আমাকে মেঘনা আলমের বয়ফ্রেন্ড বলা হচ্ছে— এটা ভুল তথ্য, তার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি সাধারণ একজন মানুষ। দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলাম। আমি একজন রেমিট্যান্সযোদ্ধা। আমি মামলার এসব ঘটনার কিছুই জানি না।’

শুনানি শেষে আদালত দুজনকে গ্রেপ্তার দেখান এবং সামিরকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন।

হাজতখানায় নেওয়ার পথে মেঘনা আলম বলেন, ‘আমি ন্যায়বিচার পাচ্ছি না।’ এ পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা তাকে ঘিরে ধরেন। পরে আর কোনো কথা বলতে দেওয়া হয়নি।

সূত্র : আমাদের সময়

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles