11.9 C
Toronto
রবিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৫

উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে ফাঁদে ফেলে ৬০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়, ৩ নারীসহ গ্রেপ্তার ৪

উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে ফাঁদে ফেলে ৬০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়, ৩ নারীসহ গ্রেপ্তার ৪ - the Bengali Times
সংগৃহীত ছবি

এক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাকে ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করে আটক, মারধর ও জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের অভিযোগে দুর্ধর্ষ এক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নাজমুন নাহার সুখী (২৮), কামরুন নাহার আঁখি (৩২), রুমানা ইসলাম স্মৃতি (৫০) ও মো. সাফাত ইসলাম লিংকন (২৫)।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের নিকট হতে আদায়কৃত চাঁদার ১৫ লক্ষ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

- Advertisement -

ভাটারা থানা সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম উচ্চপদস্থ একজন সরকারি কর্মকর্তা। গ্রেপ্তারকৃত কামরুন নাহার আঁখি তার পূর্ব পরিচিত। ভিকটিমের নিকট হতে বিভিন্ন প্রয়োজনে গত ৩-৪ মাসে ৫ লাখ টাকা ধার নেন আঁখি। পরবর্তীতে ভিকটিম টাকা ফেরত চাইলে আঁখি টালবাহানা শুরু করেন।

গত ১৮ এপ্রিল ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় আসেন ভিকটিম। পরদিন (১৯ এপ্রিল) বিকেলে নাজমুন নাহার তাকে একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে পূর্বপরিকল্পিতভাবে গ্রেপ্তারকৃত চারজনসহ অজ্ঞাতনামা একজন ভিকটিমকে আটক করেন। গ্রেপ্তারকৃত সাফাত ইসলাম বালিশ দিয়ে তার মুখ চেপে শ্বাসরোধের চেষ্টা করেন এবং অন্যরা তার হাত-পা বেঁধে মারধর করেন।

পরে তারা ভিকটিমের নিকট এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। প্রাণ বাঁচাতে ভিকটিম তার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের কাছ থেকে ৬০ লক্ষ ২৩ হাজার ৮০ টাকা সংগ্রহ করে তাদেরকে দেন। এরপর তারা ভিকটিমের নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে তাকে ছেড়ে দেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডিএমপির ভাটারা থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।

থানা সূত্রে আরো জানা যায়, মামলা রুজুর পর ভাটারা থানা পুলিশ গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় চক্রটির সদস্যদের চিহ্নিত ও তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে।

পরবর্তীতে শনিবার রাতে ভাটারা এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা সমাজের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের টার্গেট করে তাদের ব্ল্যাকমেইলের জাল বিস্তার করে। প্রথমে তারা তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে। সখ্যতার এক পর্যায়ে ভিকটিমদের একটি বাসায় নিয়ে আসে। সেখানে আটক, নির্মম মারধর, চাঁদা আদায় এবং নগ্ন ভিডিও ধারণের মতো ঘৃণ্য অপরাধ করে থাকে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। চক্রের পলাতক এক সদস্যকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles