
দলীয় প্রতীক নৌকার ভাস্কর্য ভেঙে ফেলে আওয়ামী লীগ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার পিঞ্জুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান আবু ছাইদ শিকদার। এ ঘটনায় পুরো জেলাজুড়ে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।
গোপালগঞ্জে দলীয় প্রতীক নৌকার ভাস্কর্য ভেঙে ফেললেন আওয়ামী লীগ নেতা আবু ছাইদ শিকদার। ছবি: সময় সংবাদ
রোববার (২৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলার পিঞ্জুরী ইউনিয়নের কাকডাঙ্গা গ্রামে আবু ছাইদ শিকদারের বাড়ির সামনে পুকুরপাড়ে ইট, বালু, সিমেন্ট ও রড দিয়ে নির্মিত আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলেন তিনি।
ভাস্কর্যটি ভাঙার সময় চেয়ারম্যান আবু ছাইদ শিকদার সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
আবু সাইদ শিকদার প্রয়াত সাবেক ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লার ভাগ্নে। তিনি প্রায় ৩০ বছর ধরে পিঞ্জুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
জানা গেছে, চেয়ারম্যান আবু ছাইদ শিকদার তার বাড়ির সামনের পুকুরপাড়ে কয়েক বছর আগে ইট, বালু, সিমেন্ট ও রড দিয়ে একটি দৃষ্টিনন্দন স্থায়ী নৌকার ভাস্কর্য নির্মাণ করেন। রোববার সকালে আবু ছাইদ শিকদার লোকজন দিয়ে ওই ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলেন।
পিঞ্জুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী মুক্তা বলেন, ‘আবু সাইদ শিকদার দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে পিঞ্জুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি মামা প্রয়াত সাবেক ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লার প্রভাব খাটিয়ে পিঞ্জুরী ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। চেয়ারম্যান হওয়ার পর তিনি ব্যাপক দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এখন আওয়ামী লীগের এই দুর্দিনে এসে আবু সাইদের এমন কাণ্ডে আমরা হতবাক হয়েছি। আমরা এই নৌকা ভাস্কর্য ভাঙার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
আবু ছাইদ শিকদার শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘যার দল করি তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পালিয়ে গেছেন। আদর্শ্যচ্যুত হয়েছে তাই পালিয়েছেন। ওই দল আর আমি করবো না। তিনি ফিরে আসলেও আওয়ামী লীগ আর করবো না। তাই নৌকার ফলক ভেঙে ফেলেছি।’