
সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত তাবাস্সমু ছবি সংগৃহীত
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে আগুন ধরে গেলে আড়াই বছরের শিশু তাবাসসুম ও স্ত্রীকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেন নাসরুল্লাহ তুহিন। ভয় ও আতঙ্কে সাঁতরে তীরে ফেরার পর দেখতে পান তার মেয়ে নেই। কখন হাত ফসকে শিশুটি আলাদা হয়ে গেছে তা টেরও পাননি। দিনভর নদীর পাড়, লাশের সারি ও হাসপাতালে মেয়েকে খোঁজাখুঁজি করে অবেশেষে মেয়েকে পেয়েছেন। তবে জীবিত নয়, মৃত।
আজ শনিবার বরগুনা জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে কফিনে মোড়া মেয়ের লাশ গ্রহণ করেন তুহিন। তিনি পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ঘুটাবাছা গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় পুরো গ্রামজুড়ে চলছে শোকের মাতম। এই আহাজারি কেবল তাবাসসুমের বাড়িতেই নয়, পাথরঘাটায় বেশ কয়েকটি গ্রামের চিত্র একই।
তুহিন বলেন, ‘মোর মাইয়াডা কোল জুইরা আইয়া আবার বুকটা খালি কইরা গ্যালে। মোরা আর বাচমু না। আগুন থিইক্যা বাঁচতে মাইয়া কোলে লইয়া পানতে (পানিতে) লাফ দিছিলাম। পাড়ে উইঠা দেহি মোর গেদু কোলে নাই। হারা দিন বিছরাইছি কোনো হানে পাই নাই। মোরে এট্টু ওর লাশটা অইলেও আইন্না দ্যান’।