
উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ে কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংক অস্বস্তিতে আছে বলে জানিয়েছেন গভর্নর টিফ ম্যাকলেম। গত মাসে কানাডার মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে পণ্যমূল্য বৃদ্ধিতে লাগাম টানার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন গভর্নর।
টিফ ম্যাকলেম বলেন, ইস্যুটি ব্যাংক অব কানাডার প্রতি কানাডিয়ানদের আস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত। মূল্যবৃদ্ধির এ ধারা যাতে আরও উচ্চ না হয় সেটা নিশ্চিত করতে চাই আমরা।
স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার বুধবার প্রকাশিত উপাত্ত অনুযায়ী, বার্ষিক মূল্যস্ফীতির গতি নভেম্বরে স্থিতিশীল ছিল। এ সময় ভোক্তা মূল্যসূচক গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে।
ম্যাকলেম বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি অনেক কানাডিয়ানের কাছে সমস্য। কারণ, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় পরিবারগুলোকে তিনগুন অর্থ পরিশোধ করতে হচ্ছে।
বার্ষিক মূল্যস্ফীতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্যের মধ্যে অর্থাৎ ১ থেকে ৩ শতাংশের মধ্যে ধরে রাখতে ব্যাংক অব কানাডা ও ফেডারেল সরকারের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের দুইদিন পর এসব কথা বলেন ম্যাকলেম। এম্পায়ার ক্লাব কানাডায় এক ভার্চুয়াল বক্তৃতায় তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির সর্বোচ্চ সীমা যদি কর্ম বাজারকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে তাহলে তা মেনে নেওয়া হতে পারে। কিন্তু মূল্যের স্থিতিশীলতা রক্ষা করা প্রধান কাজ। কারণ, সেটা যদি আমরা করতে না পারি তাহলে কোনো কাজই সঠিক হবে না।
মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকায় কানাডিয়ানদের আনা ডলারও দুর্বল হচ্ছে। ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে গত মাস পর্যন্ত মজুরি বেড়েছে ২ দশমিক ৮ শতাংশ। এর অর্থ হলো ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা গড়ে হ্রাস পেয়েছে।
মজুরি সাধারণত মূল্যস্ফীতির চেয়ে কম বাড়ে। কিন্তু আটোসাটো শ্রমবাজারের ফলে চাকরিরতদের বেতন এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। কর্মীদের যে বেতন দেওয়া হচ্ছে তা মূল্যস্ফীতির হারকে ছুঁয়ে ফেলার অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন অ্যাকাউন্টিং ফার্ম আরএসএম কানাডার অর্থনীতিবিদ তু নিগুয়েন।
নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধিতে এবারও প্রধান ভূমিকা রেখেছে গ্যাসোলিনের দাম, গত মাসে যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৩ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। অক্টোবরে বেড়েছিল গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১ দশমিক ৭ শতাংশ। গ্যাসোলিনের দাম বাদ দিলে নভেম্বরে বার্ষিকভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়াত ৩ দশমিক ৬ শতাংশে।